শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
একযুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও মজলিশে শূরা গঠন সুনামগঞ্জ- ৩ আসন; মনোনয়নের ব্যাপারে দৃড়ভাবে আশাবাদী: একান্ত সাক্ষাত কারে বিএনপি নেতা কয়ছর এম আহমদ জগন্নাথপুরে অটোরিক্সা চালক সুজিত হত্যাকাণ্ডঃ অটোরিকশা ও চাকুসহ গ্রেফতার- ৩ জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত জগন্নাথপুরে সংর্ঘষে সুজাত উল্যাহ হত্যা ৮০ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা জগন্নাথপুরে সুজিত হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল জগন্নাথপুরে উৎসাহ উদ্দিপনায় শেষ হলো আল ইসলাহ’র কাউন্সিল জগন্নাথপুর পৌর আল ইসলাহর ২০২৪ এর কাউন্সিল সম্পন্ন জগন্নাথপুরে অটোরিক্সা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা মহানগরে রিকশা ও ভ্যান কয়েকশ’ ভুয়া লাইসেন্সও ইস্যু করেন সাহেদ

ঢাকা মহানগরে রিকশা ও ভ্যান কয়েকশ’ ভুয়া লাইসেন্সও ইস্যু করেন সাহেদ

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্কঃ  ঢাকা মহানগরে রিকশা ও ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স বাণিজ্যেও যুক্ত ছিলেন রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারির হোতা সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম।

রাজধানীর আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নামে কয়েকশ’ ভুয়া লাইসেন্স ইস্যু করেন তিনি। এছাড়া রিকশা-ভ্যানের ভুয়া রুট পারমিট বা টোকেন বিক্রি করেও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন এই বহুরূপী প্রতারক।

ইতোমধ্যে সাহেদের কয়েকটি আস্তানা থেকে হাজারখানেক রিকশা-ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স ও টোকেন উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে পলাতক সাহেদ করিমকে ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ প্রতারক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে র‌্যাব। ক্রিমিনাল ডাটাবেজে তার জীবনবৃত্তান্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। র‌্যাব বলছে, প্রতারণার এমন কোনো খাত নেই যেখানে সাহেদের নাম নেই। অনুসন্ধানে প্রতিদিনই তার নিত্যনতুন প্রতারণা বাণিজ্যের তথ্য মিলছে।

সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে রিকশাচালকদের সঙ্গেও প্রতারণার তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। রাজধানীতে চলাচলকারী রিকশাচালকদের ভুয়া লাইসেন্স দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এমনকি নিজেও রিকশা-ভ্যানের মালিক সেজে রিকশা স্ট্যান্ডগুলোতে চাঁদাবাজি করতেন।

এছাড়া ভুয়া ট্যাক্স ও রিকশা ভ্যানের রুট পারমিট বা টোকেন ইস্যু করেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে এই অপকর্ম করে আসছিলেন সাহেদ।

রোববার বিকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সাহেদের আস্তানা থেকে ৫ শতাধিক রিকশা ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স ও টোকেন উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত লাইসেন্সগুলোর বেশির ভাগ দেয়া হয় তুরাগ এলাকার হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নামে। বেশির ভাগ লাইসেন্সে মালিকের নাম লেখা হয়েছে সাহেদ। পিতার নাম সিরাজুল করিম। মোবাইল নম্বর-০১৭৮৫৫৪৭৮২৯।

কম্পিউটারে প্রিন্টকৃত লাইসেন্স বইয়ের মলাটে সোনালি রংয়ের বড় হরফে লেখা ‘রিক্সা লাইসেন্স’। হরিমরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ, থানা তুরাগ, (মেট্রোপলিটন এলাকা) ঢাকা। কার্যালয় : রানাভোলা তুরাগ, ঢাকা-১২৩০।

মলাট খুললেই পাশাপাশি দুটি সিল ও স্বাক্ষর। একটি ইউপি সচিবের এবং অপরটি হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের।

ভুয়া লাইসেন্সগুলোর বিপরীতে রুট পারমিট হিসেবে টোকেনও ইস্যু করা হয়। ভুয়া লাইসেন্সধারী রিকশা ভ্যানগুলো রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু করে মিরপুর ও উত্তরা আবাসিক এলাকায় চলাচল করে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে রিকশা-ভ্যান ধরা পড়লে অনেক চালক সাহেদকে ফোন করতেন। এ সময় সাহেদ নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা অথবা যুবলীগ নেতা আবার কখনও সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হম্বিতম্বি শুরু করতেন। এভাবে অবৈধ রিকশা ভ্যান ছাড়িয়েও নিতেন তিনি।

হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসিম যুগান্তরকে বলেন, হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এটি এখন সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত। ফলে হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রিকশা ভ্যানের লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, সাহেদ নামের এক হাসপাতাল প্রতারকের খবর টিভি পত্রিকায় দেখছি। এখন শুনছি আমার ইউনিয়ন পরিষদের নামেও সে ভুয়া লাইসেন্স ইস্যু করেছে। এ বিষয়ে সরকার নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদপেক্ষ নেবে।

জাতীয় রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী রোববার যুগান্তরকে বলেন, রিকশা ভ্যানচালকরা মানুষ হয়েও অমানবিক কষ্টকর পেশায় নিয়োজিত। তাদের সঙ্গে যারা প্রতারণা করে তারা মানুষরূপী পশু। আমরা রিকশা ভ্যানচালকরা সাহেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com